Navigation Menu

বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

: পৃথিবী যতো এগোচ্ছে, মানুষ ততোই বুদ্ধিদীপ্ত হচ্ছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে চলছে এ প্রক্রিয়া। এক প্রজন্মকে বুদ্ধি, মেধায়, কর্মদক্ষতায় ছাড়িয়ে যাচ্ছে পরের প্রজন্ম। আর প্রতি প্রজন্ম এভাবে ক্রমান্বয়ে উন্নত হয়ে চলেছে। জ্ঞান, মেধা, সৃজনশীলতার বিভিন্ন শাখায় শিশুরাও হয়ে উঠছে চৌকস।

তা সত্ত্বেও এ ঘটনাটা সত্যিই অবাক করার মতো। উন্নয়নশীল বিশ্বে মাত্র ৫ বা ৬ বছর বয়সে একটি শিশুকে যখন স্কুলে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নেন বাবা-মায়েরা, সে বয়সেরই একটি শিশু যদি বিমান চালায়, তাহলে তা নিঃসন্দেহে বিস্ময়ের জন্ম দেয়। বেইজিং ওয়াইল্ডলাইফ পার্কের ওপর দিয়ে ৩৫ মিনিট হাল্কা একটি বিমান উড়িয়ে চীনের ৫ বছর বয়সী এক শিশু সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। মানুষের মধ্যে কৌতুহল জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি এ সংবাদ চীনে তীব্র বিতর্কেরও জন্ম দিয়েছে। শিশুটির নাম ডুয়োডুয়ো। তার পিতা হি লিয়েশেং বলেছেন, সাহসিকতা ও নতুন কিছু জানার তীব্র বাসনাকে সন্তানের মনের মধ্যে স্থাপনের চেষ্টার অংশ হিসেবেই তিনি বিমান চালানোর অনুমতি দিয়েছেন ডুয়োডুয়োকে। জিয়াসু প্রদেশের বাসিন্দা লিয়েশেং। তিনি জানান, ৫ বছরের ডুয়োডুয়োকে একটি বিমান চালনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল। এরপর সে গত শনিবার বিমান আকাশে ওড়ায়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ইন্টারনেটে খবরটি ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়ে এবং ফেসবুক, টুইটারসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট ও ব্লগে রীতিমতো ঝড় তোলে। প্রাথমিক রিপোর্টগুলোতে বলা হচ্ছে, আকাশে ওড়া ও চালনা পর্যন্ত বিমানের পুরো নিয়ন্ত্রণই ছিল ওই শিশু পাইলটের হাতে। তবে যে কোন জরুরি পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য ডুয়োডুয়োর পাশে একজন প্রশিক্ষিত পাইলট ছিলেন। এ খবরটি বেশ বিতর্কেরও জন্ম দিয়েছে। লিয়েশেং চীনে ‘ঈগল পিতা’ নামে পরিচিত। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ডুয়োডুয়োকে মাইনাস ১৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে বরফের ওপর বসিয়েছিলেন। আর ৫ বছর বয়সে বিমান চালিয়ে তো রেকর্ডবুক ও ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়ে রাখলো ডুয়োডুয়ো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন