Navigation Menu

বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০১৩

বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাড়ি!


প্রিন্ট কর
নিউজ-বাংলা ডেস্ক   
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০০৮

ছবিঃ মুকেশের বির্মাধীন বাড়ী-‘ভিলা আন্তিলা’, স্ত্রী নীতার সাথে মুকেশ এবং নীতার জন্মদিনের উপহার-এয়ার বাস
হিসাবটা মনে রাখুন। একটু পরেই কাজে লাগবে। একটা বাড়ি। ছয়জন বাসিন্দা। বাড়ি আর তাঁদের দেখভাল করার জন্য ৬০০ কর্মী। বাড়ি বানানোর খরচ মাত্র চার হাজার কোটি রুপির কিছু বেশি। ডলারে ১০০ কোটি রুপী তথা এক বিলিয়ন , তবে ফোর্বস সাময়িকীর মতে জমিসহ খরচ দাঁড়াবে ২০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি । মুম্বাইয়ে নির্মাণাধীন বাড়িটির কাজ শেষ হলে এটাই হবে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বাড়ি। বাড়িটার মালিক বিশ্বের পাঁচ নম্বর ধনী, ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি।
বাড়ির নাম ‘ভিলা আন্তিলা’ আন্তিলা নামটি মুকেশ নিয়েছেন আটলান্টিক মহাসাগরের দ্বীপ আন্তিলা থেকে। সাড়ে পাঁচশ ফুট উচ্চতার ২৭ তলার আকাশচুম্বী বাড়ি ভিলা আন্তিলা। আগামী সেপ্টেম্বরে শুভ উদ্বোধন হবে বাড়ীটির। থাকার জন্যই বাড়ীটি তৈরী করেছেন মুকেশ আম্বানি। বিশাল এই প্রসাদের বাসিন্দা হবে ছয়জন। মুকেশ আম্বানি, তাঁর স্ত্রী নীতা, তিন ছেলেমেয়ে আর মা কোকিলাবেন আম্বানি। ২৭ তলার আকাশচুম্বী এই ভিলার একেবারে ওপরের দিককার চারটা তালায় থাকবে পরিবারের সবাই। দৃষ্টিসীমার একদিকে থাকবে আরব সাগর, আরেক দিকজুড়ে মুম্বাইয়ের দিগন্ত রেখা। এর নিচের চার তলার পুরোটায় থাকবে খোলা বাগান। এ বাগান তৈরি করা হচ্ছে ব্যাবিলনের শুন্যোদ্যান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। নিচের ছয় তলা শুধু গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হবে। এতে আছে ১৬৮টি গাড়ি রাখার ব্যবস্থা; গাড়ি মেরামত, সার্ভিসিংয়ের জন্য তিনটি পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্কশপও। অষ্টম তলায় থাকবে মিনি থিয়েটার। হঠাৎ কোনো বিপদ-আপদ ঘটলে তা সামাল দেওয়ার সব সুবিধা নিয়ে নবম তলায় থাকবে কর্মীরা। এর ওপরের দুটি তলা ব্যবহূত হবে শরীর ঠিক রাখার কাজে। সব সুবিধা, যন্ত্রপাতি ও দক্ষ প্রশিক্ষকসহ ব্যায়ামাগার তৈরি হচ্ছে এ দুটি তলায়। সাঁতার কাটার ব্যবস্থাও আছে। এর ওপরের দুই তলা অতিথিশালা। এ দুই তলা কাচে মোড়া। একদম ওপরের তলাটাকে বিনোদনের জন্য রাখা হয়েছে। এখানে আম্বানির ব্যবসায়িক অতিথিরা যাতে আরাম করে বসে আরব সাগর দেখতে পারেন তার সব ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। এ বাড়িতে এলিভেটর থাকছে নয়টা। ছাদে তিনটি হেলিপ্যাডও তৈরি করা হচ্ছে। বাড়ির কোনো কক্ষ অপর কক্ষের সঙ্গে মিলবে না। বাড়িতে ব্যবহূত সবকিছুই বিশেষভাবে তৈরি করে আনা হয়েছে। মুকেশ আর নীতার পছন্দমতো স্থাপত্য নকশা তৈরি করে দিয়েছে শিকাগোর পারকিনস+উইল অ্যান্ড হার্চশ বেডনার অ্যাসোসিয়েটস। পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল বাড়িটি মুকেশ কেন তৈরি করছেন, জানেন? স্ত্রী নীতার ৪৫তম জন্নদিনে উপহার দেওয়ার জন্য। গত বছর ৪৪তম জন্নবার্ষিকীতে উপহার দিয়েছিলেন গোটা একটা বিমান। বিলাসবহুল ৩১৪ করপোরেট এয়ারবাসটির দাম ছিল ২৪২ কোটি রুপি। সে উড়োজাহাজটি আকাশে একটি বিলাসবহুল বাড়ির মতোই। ছোট্ট একটি অফিস থেকে শুরু করে শোবার ঘর, গোসলখানা, স্কাইবার, লাউঞ্জসহ সবই আছে সে এয়ারবাসে। এতক্ষণে নিশ্চয়ই সম্রাট শাহজাহানের কথা মনে পড়ছে। স্ত্রী মমতাজমহলের মৃত্যুর পর তিনি তৈরি করেছিলেন পৃথিবীর আশ্চর্য এক স্থাপত্যকর্ম, তাজমহল। আর এ যুগের মুকেশ আম্বানি জীবিত অবস্থায়ই স্ত্রীকে দিয়েছেন গোটা একটা উড়োজাহাজ, আর দিতে যাচ্ছেন পৃথিবীর সবচেয়ে দামি বাড়ি।(সুত্রঃ ইন্টারনেট)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন