Navigation Menu

রবিবার, ৫ মে, ২০১৩

বিনা খরচে ৩৬’শ ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন মতা সম্পন্ন প্লান্ট তৈরী করেছে সাতক্ষীরার দুই তরুন .এম. আর মিঠু, সাতক্ষীরা প্রতিনিধী.প্রকাশ ,.bd24live.com

এম. আর মিঠু, সাতক্ষীরা প্রতিনিধী: ডিজেল, মবিল ও পানি ছাড়াই বিদ্যুৎ উৎপাদনে সাতক্ষীরার দুই তরুণ এক দশক প্রচেষ্টা চালিয়ে অবশেষে সফল হয়েছেন। সার্কিট, ব্যাটারি, মটর ও জেনারেটর দিয়েই এই বিদ্যুৎ প্লান্ট আবিস্কার করা হয়েছে। এটি চালাতে একটি টাকাও খরচ হবে না। ডিজেল, মবিল, পানি ও জনবল ছাড়াই প্লান্টটি পরিচালনা করা যায়।
দুই তরুণের এই আবিস্কার প্রমাণ করতে ইতোমধ্যে পরীামূলকভাবে সাড়ে পাঁচ ঘন্টা মেশিনটি চালিয়ে এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। আলোচিত দুই তরুণ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের সিরাজুল মল্লিকের পুত্র তৌহিদুল ইসলাম  মল্লিক ও তার সহযোগি একই এলাকার শামসুদ্দিন ঢালীর পুত্র  মিজানুর রহমান মিজান। পেশায় একজন দোকানদার, অপরজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি।
জানা যায়, তৌহিদুল ইসলাম মল্লিক ওরফে বাবু ও মিজানুর রহমান মিজান একে অপরের ঘনিষ্ট বন্ধু। এই বিদ্যুৎ প্লান্টটি তৈরি করতে ১টি জেনারেটর, ২টি মটর, ১২ ভোল্টের ১টি ব্যাটারি, ৪টি সার্কিট, ৩টি পুলি, ২টি বেল, ১টি ফ−াইবারসহ আনুসাঙ্গিক অন্যান্য যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়।

তারা জানান, প্লান্টটি হতে ৩৬০০ ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। এর মধ্যে সরবরাহের সময় ২৮০০ ওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হবে। বাকি ৮০০ ওয়াট বিদ্যুৎ প্লান্টের ব্যাটারি চার্জ ও সার্কিটগুলো সক্রিয় রাখতে ব্যবহৃত হবে। সরবরাহকৃত বিদ্যুতে ১০০টি ৩০ ওয়াটের এনার্জি সেভিং বাল্ব জ্বালানো যাবে। বিদ্যুৎ প্লœান্টটি ২৪ ঘন্টাই ব্যবহার সম্ভব। যেখানে বিদ্যুত আছে সেখানে ব্যবহার করা হলে বিদ্যুত চলে যাওয়ার ১৩ সেকেন্ডেরর মধ্যে বিদ্যুত প্লান্টটি অটো স্ট্যার্ট হয়ে যাবে। এই মেশিনে জ্বালানী হিসেবে কোন প্রকার ডিজেল মবিল, পানি ও জনবল প্রয়োজন হবে না। এটি প্রস্তত করতে প্লান্ট প্রতি মোট ১ লাখ ১০ হাজার টাকা খরচ হবে।
পরীক্ষামূলকভাবে প্লান্টের বিদ্যুৎ উৎপাদন মতা দেখাতে সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর বাজারে সাড়ে পাঁচ ঘন্টা একটানা বিদ্যুত সরবরাহ করে প্রত্যদর্শী সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন ওই দুই তরুণ। এলাকার মানুষ এই আবিস্কারে স্বাগত জানালেও আর্থিক সংকটের কারণে প্লান্টটি বাজারজাত করতে পারছেন না তারা। এই মুহূর্তে সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা পেলে প্লান্টটি বাজারজাত করা সম্ভব হবে এমনটাই তারা ভাবছেন। তারা, জানান, আগামীতে ১০ হাজার ওয়াটের বিদ্যুৎ প্লান্ট তৈরি করার পরিকল্পনা তাদের রয়েছে। একই সাথে যেখানে একেবারেই বিদ্যুৎ নেই সেখানে সুইচ চাপ দিয়ে এই মেশিন স্ট্যার্ট করতে হবে সেটিকে আরও মোডিফিকেশন করে রিমোট সিস্টেমে কোন প্রকার শব্দ ছাড়াই বিদ্যুৎ প্লানটি স্ট্যাট করার পরিকল্পনা তাদের রয়েছে। তাদের এই প্রচেষ্টা বাস্তবে রূপ নিলে দেশের মানুষ ব্যপকভাবে উপকৃত হবে বলে আশা করছেন তরুণ দুই বিজ্ঞানী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন